একটি দেশের উন্নয়নের পিছনে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের অর্থনৈতিক লাইফ লাইন হিসাবে পরিগণিত। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর দেশে একটি সুষম, টেকসই ও নিরাপদ সড়ক নেটওয়ার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় জাতীয় মাহসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক ও জেলা মহাসড়ক এই ৩টি ক্যাটাগরীতে সড়ক নির্মাণ করা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগ সুনামগঞ্জ জেলায় সুষম, টেকসই ও নিরাপদ সড়ক নেটওয়ার্ক নির্মাণের লক্ষ্য পূরণে কাজ করে চলেছে। সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগের আওতাধীন কোন জাতীয় মহাসড়ক না থাকলেও আঞ্চলিক মহাসড়ক ১৩৯.১২৫ কিলোমিটার এবং জেলা মহাসড়ক ২১৭.৪৪ কিলোমিটারসহ মোট ৩৫৬.৫৬৫ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। নদী, খাল, জলাশয় প্রভৃতি অতিক্রমের জন্য রয়েছে সেতু/কালভার্ট এবং ফেরী পয়েন্ট। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এই বিশাল সড়ক নেটওয়ার্ক নিরন্তর উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে সেবা প্রদান করে চলেছে। বন্যা, জলোচ্ছাস, ঘুর্ণিঝড়, প্রাকৃতিক দূর্যোগের পর স্বল্পতম সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক বা সেতু মেরামত করে নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে থাকে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সড়ক বিনির্মাণের জন্য আছে যান্ত্রিক সরঞ্জাম এবং সড়কের নির্মাণ সামগ্রীর মাননিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে সড়ক গবেষনাগার। সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সরঞ্জাম/যন্ত্রপাতি অধিদপ্তরের কাজের বাইরেও জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট হারে ভাড়ায় প্রাদানের ব্যবস্থা রয়েছে। সড়ক নির্মাণের বিভিন্ন উপকরণ ও নির্মাণ সামগ্রী নির্ধারিত ফি এর মাধ্যমে সড়ক গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। আর এইচ, ডি ট্রেনিং সেন্টার, মিরপুরে সওজ অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, ফিন্যান্স ও কম্পিউটার ইত্যাদি বিষয়ের উপর ব্যক্তিগত কিংবা প্রতিষ্ঠানগত ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। তাছাড়া সিএনজি, পেট্রোল পাম্প, আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প এলাকার জন্য প্রবেশ পথ এবং সামাজিক বনায়ন ও মৎস্য চাষের জন্য সড়ক ও মাহসড়কের পার্শ্বের সরকারী জমি স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে লীজ দেওয়া হয়ে থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস